মাইক্রো ব্লগিং প্লাটফর্ম টুইটার (Twitter) আমাদের কাছে অত্যধিক রকমের জনপ্রিয়। মাত্র কয়েক দিন আগেই আমরা জেনেছিলাম আসতে চলেছে Sign in with Google-ও। আর এবার এই টুইটার অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে নানান গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফিচার নিয়ে কাজ চলছে। জানা গেল সেই গুরুত্বপূর্ণ ফিচার গুলো সম্পর্কেই। চলুন জেনে নেওয়া যাক কি কি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার আসতে পারে টুইটার এর মধ্যে।
ট্রাস্টেড ফ্রেন্ডস (Trusted Friends)
ইনস্টাগ্রামের ক্লোজ ফ্রেন্ডস(Close Friends) ফিচারের মতোই এই ট্রাস্টেড ফ্রেন্ড ফিচারটি কাজ করবে। আপনি যদি চান আপনার লিমিটেড কিছু বন্ধুদের মধ্যেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেয়ার করবেন। তাহলে এই ফিচারটিকে ব্যবহার করে আপনি সেই কাজটাই করতে পারবেন খুব সহজেই। কিছু ট্রাস্টেড ফ্রেন্ডস সিলেক্ট করে রাখতে পারবেন। পরবর্তীকালে তাদের মধ্যেই শেয়ার করতে পারবেন আপনার টুইট।
ফ্যাসেটস (Facets)
অনেকেই কর্মক্ষেত্রের জন্য অথবা ফ্যামিলি পারপাশে দুটো টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে থাকেন। যাতে এই কর্মজীবন এবং পারিবারিক জীবন এক না হয়ে যায়। সেই কাজটাই করতে সাহায্য করবে এবার টুইটার। একটা অ্যাকাউন্ট থেকেই আপনি এটাকে কন্ট্রোল করতে পারবেন। ফলে আপনি আপনার ফলোয়ার দের আলাদা আলাদা ক্যাটাগরি তে ভাগ করে রাখতে পারবেন। নির্দিষ্ট কিছু ফলোয়ারদের মধ্যেই নির্দিষ্ট কিছু বিষয় টুইট করতে চাইলে সহজেই সেই কাজ টি করতে পারবেন।
অর্থাৎ আলাদা আলাদা অ্যাকাউন্ট আপনাকে ব্যবহার করতে হবে না। একটা অ্যাকাউন্ট থেকেই আপনি খুব সুন্দরভাবেই কাজটা মিটিয়ে নিতে পারবেন। নিঃসন্দেহে এটাও একটা দারুন ফিচার।
ব্যানড ফ্রেজ (Banned Phrase)
শুধুমাত্র এই দুটো সুবিধার নয়। এরই সাথে আরও একটি সুবিধা রয়েছে। তা হল ব্যানড ফ্রেজ(Banned Phrase)। টুইটারে আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আপত্তিকর রিপ্লাইয়ের সম্মুখীন হই। এমন শব্দ ব্যবহার করেন অনেক ইউজাররা, যে গুলো আমরা দেখতে চায় না আমাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে।
এই ফিচারের সাহায্যে এই নির্দৃষ্ট ফ্রেজ গুলিকে আপনি আগে থেকেই ঠিক করে রাখতে পারবেন। আপনার কোনো টুইটার ফলোয়ার যখন সেই Phrase গুলো ব্যবহার করতে যাবেন। তখন তাকে একটা ওয়ার্নিং দিয়ে দেওয়া হবে। যদিও সেই টুইটার ফলোয়ার সেই ওয়ার্নিং ইগনোর করে তখনও টুইট রিপ্লাই করতে পারবেন।
জানেন কি : ইউটিউব অ্যান্ড্রয়েড ইউজারদের জন্য নিয়ে এলো দুর্দান্ত ফিচার, শেয়ার করা যাবে ভিডিও চ্যাপ্টারও
তবে আপনাকে সঙ্গে সঙ্গে নোটিফাই করে দেওয়া হবে সেই বিষয়ে। আপনি চাইলে সেই কনভারসেশন(Conversation) কে একদম সমস্ত কনভারসেশনের নিচে নামিয়ে রাখতে পারবেন। এমনকি ইউজার যদি চান অটোমেটিক একশন সিলেক্ট করে রাখতে পারবেন। যার ফলে এই কাজটা অটোমেটিক্যালি ঘটে যাবে।
তবে বলে রাখা ভাল এই সমস্ত ফিচারগুলো এখনো ডেভেলপমেন্ট পর্যায়ে আসেনি। শুধুমাত্র কনসিডারেশন রাখা হয়েছে এই ফিচার গুলিকে। ভবিষ্যতে যদি কখনো মনে হয় এই ফিচারগুলো নিয়ে কাজ করতে পারে টুইটার। তারা জনগণের কাছে এই ফিচারগুলো জানাচ্ছে ফিডব্যাক পাওয়ার জন্য। এই তিনটে ফিচার আপনার কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।