ইসরো কি? ইসরো-র ফুল ফর্ম কি? ইসরো এর সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত? জেনে নিন ভারতের এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা সম্পর্কে হতবাক করা তথ্য

মহাকাশের প্রতি আমাদের বিস্ময় চিরকালেরই। আর এই অসীম বিস্ময়ের জন্যই মহাকাশ(Space)-কে জানার ইচ্ছা আমাদের মনে সবসময় বেড়েই চলেছে। মহাকাশকে জানা, বোঝা এবং মহাকাশ সম্পর্কে নিত্যনতুন গবেষণা করার জন্যই ভারতে গঠন করা হয়েছিল ইসরো(ISRO)ISRO-এর পুরো নাম ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেসন(Indian Space Research Organization)। 

আজকে আমরা ইসরো সম্পর্কেই অনেক অজানা তথ্য জেনে নেব। জেনে নেব এটা কবে গঠন করা হয়েছিল, কেন গঠন করা হয়েছিল, ইসরো গঠন করার উদ্দেশ্য কি- এই সমস্ত কিছু সম্পর্কেই।

ইসরো কি? ইসরো-র ফুল ফর্ম কি? ইসরো এর সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত? জেনে নিন ভারতের এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা সম্পর্কে হতবাক করা তথ্য

ইসরো কি? 

মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে ইসরো এখন এক অতি উজ্জ্বল নক্ষত্র। ১৯৬৯ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে ইসরো ছোট্ট ছোট্ট পায়ে এখন কয়েক আলোকবর্ষ এগিয়ে গেছে। 

সংক্ষেপে বলা যায় ইসরো হল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। মহাকাশের অজানা রহস্য উন্মোচনে একের পর এক অসাধ্য সাধন করেছে এই ইসরো।

ইসরো এর প্রতিষ্ঠাতা কে?

১৯৬৯ সালের ১৫ই আগস্ট ইসরো কে স্থাপন করা হয়েছিল। আর এই ইসরো এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন বিক্রম সারাভাই। আগে ইসরো কে জানা যেত ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কমিটি ফর স্পেস রিসার্চ এই নামে। ১৯৬৯ সালেই এই কমিটির নাম পরিবর্তন করে এর নাম রাখা হয় ইসরো।

ইসরোর সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?

ভারতের স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন অর্থাৎ ইসরো-এর সদর দপ্তর বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত। বেঙ্গালুরুর অন্তরীক্ষ ভবন হল ইসরোর সদর দপ্তর। 

ইসরোর আগামী দিনের কিছু মিশন কি কি? 

মহাকাশ গবেষণায় ইসরো সদা নিয়োজিত। আর এদের আগামী দিনের প্রজেক্টগুলিও হতবাক করে দেওয়ার মতই। চলুন দেখে নেওয়া যাক ইসরোর কিছু হতবাক করে দেওয়া ফিউচার প্রোজেক্ট সম্পর্কে।

গগনযান

গগনযান প্রজেক্ট এর মাধ্যমে তিনজন অ্যাস্ট্রোনটকে তিন দিনের মিশনে মহাকাশে পাঠাতে চলেছে ইসরো। তারা ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিমি উচ্চতায় পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করবেন এবং তারপর সফলভাবে অবতরণ করবেন সমুদ্রপৃষ্ঠে। এখনো পর্যন্ত মনে করা হচ্ছে ২০২৫ সাল নাগাদ এই মিশন লঞ্চ করা সম্পূর্ণ হবে। এই মিশনের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ইসরো।

XPoSat

প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক এক্সপোসাইটে সম্পূর্ণ অর্থ। এর সম্পূর্ণ অর্থ হলো এক্সরে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট। মহাকাশের উজ্জ্বল এক্সরের উৎস সম্পর্কে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাই হবে এই মিশনের মূল উদ্দেশ্য। এই মিশনে মহাকাশযান নিয়ে যাবে দুটি অতি গুরুত্বপূর্ণ পেলোড। যার প্রাথমিক পেলোড হবে পোলিক্স আর তার সাথে থাকবে XSPECT পেলোড।

ইসরো সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য কি কি?

1. 1969 সালের 15 ই আগস্ট ইসরোকে স্থাপন করেছিলেন ডঃ বিক্রম সারাভাই। আর এই জন্য তাকেই ইসরোর জনক বলা হয়ে থাকে।

2. সারা বিশ্ব জুড়ে মাত্র ছয়টি স্পেস এজেন্সি রয়েছে, যারা নিজের দেশে স্যাটেলাইট তৈরি করতে এবং লঞ্চ করতে পারে। তার মধ্যে ইসরো অন্যতম। 

3. ইসরো প্রথম স্যাটেলাইট লঞ্চ করেছিল ১৯৭৫ সালের ১৯ এপ্রিল। রাশিয়ার সাহায্যে তারা তৈরি করেছিল আর্যভট্ট। বিখ্যাত জ্যোতির্বিদ আর্যভট্টের নাম অনুসারেই এই মহাকাশযানের নামকরণ করা হয়েছিল।

4. ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন এর মত এবার ইসরো তৈরি করতে চাই ভারতের প্রথম মহাকাশ স্টেশন। এই বিষয়ে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন এর প্রধান কে. শিভম 2019 সালে বিস্তারিত জানান। 

5. এই প্রজেক্টের জন্য আগামী 20 থেকে 25 বছর এর টাইমলাইন রাখা হয়েছে। 

6. এই প্রজেক্টের মাধ্যমেই ইসরো প্ল্যান করছে ২০৪০ সাল নাগাদ চাঁদে তাদের প্রথম মহাকাশচারী পাঠাতে।

এবার ইসরো অর্থাৎ ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সংক্ষেপে দেখে নেওয়া যাক-

ইসরো কি?

সংক্ষেপে বলা যায় ইসরো হল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। ISRO-এর পুরো নাম ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেসন(Indian Space Research Organization)।

ইসরো এর প্রতিষ্ঠাতা কে?

ইসরো এর প্রতিষ্ঠাতা বিক্রম সারাভাই।

ইসরোর সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?

ইসরো এর সদর দপ্তর বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত। বেঙ্গালুরুর অন্তরীক্ষ ভবন হল ইসরো সদর দপ্তর।

ভারতের বিজ্ঞান চর্চায় বিশেষ করে মহাকাশ বিজ্ঞান চর্চায় ইসরোর ভূমিকা বলে শেষ করা যায় না। নানার প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েও তারা অসাধ্য সাধন করে চলেছে, আর বিশ্বের দরবারে ভারতের নাম উজ্জ্বল করে চলেছে।