ভারত সরকারের সাথে টুইটারের চাপানউতোরের মধ্যেই ইস্তফা দিলেন গ্রিভেন্স অফিসার, Twitter ব্যান কি অবশ্যম্ভাবী?

interim grievance officer of twitter india steps down

ভারত সরকারের নতুন আইটি রুলস (IT Rules) নিয়ে ভারত সরকার এবং টুইটারের মধ্যে চাপানউতোর চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। টুইটারকে বারংবার এই বিষয়ে ওয়ার্নিং দেওয়া হয়েছে। এমনকি শেষ নোটিশও পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীকালে টুইটারে তরফ থেকেও এই পরিস্থিতিতে কিছুটা সময় চেয়ে নেওয়া হয়েছে। 

অতিসম্প্রতি গ্রিভেন্স অফিসার হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র চতুর। তিনি সেই পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন। ভারত সরকারের নতুন আইটি নিয়মে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ছিল একজন গ্রিভেন্স অফিসার নিয়োগ। যিনি এদেশ থেকে টুইটারে আসা নানান কমপ্লেন সামলাবেন। তারসাথে তাকে এই দেশেরই বাসিন্দা হতে হবে। অন্য কোন দেশের বাসিন্দা হলে চলবে না। এমনই ছিল শর্ত। 

সেই অনুযায়ী ধর্মেন্দ্র চতুর-কে অতি সম্প্রতি ইন্টারিম রেসিডেন্ট গ্রিভেন্স অফিসার হিসেবে টুইটার ইন্ডিয়াতে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু তিনি এবার বিতর্ক উস্কে দিয়ে সেই পদ থেকেই ইস্তফা দিয়েছেন রবিবারে। আর এই ঘটনা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। তাহলে কি টুইটারের অন্যরকম কিছু প্ল্যান করছে? ইতিমধ্যেই টুইটারের ওয়েবসাইটে ভারতের গ্রিভেন্স অফিসারের জায়গায় রয়েছে ইউএস এর এড্রেস এবং অফিসের ডিটেইলস। 

জানেন কি : অনলাইনে শপিং করলে এই বিষয় গুলি অবশ্যই খেয়াল রাখুন ঠকে যাওয়া থেকে বাঁচুন

সমস্ত কিছুর পর প্রশ্ন একটাই, টুইটার কি তাহলে নতুন আইটি রুলস মানবে না? তাহলে কি টুইটার কেউ ব্যান হয়ে যেতে হবে ভারতে? তবে টুইটার এই বিষয়ে জানাচ্ছে তারা নিয়ম মানার জন্য সমস্ত রকম প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে। ভারত সরকারের সাথে এই বিষয়ে যোগাযোগ রেখেছে ভালোমতোই এমনটাই জানাচ্ছে তারা। এবার সময়ই বলে দেবে আমাদের দেশে টুইটারের ভবিষ্যৎ কি।

শ্রেষ্ঠ টেক-এর টেক আপডেট পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। সমস্ত লেটেস্ট আপডেট পেতে আমাদের সাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় অবশ্যই জয়েন করুন।