আপনি ভেবেছিলেন যে ২০ এপ্রিলের পর ফ্লিপকার্ট থেকে ফোন কিনবেন। তাহলে আপনার জন্য এটি দুঃসংবাদ।
ফ্লিপকার্ট ১৮ ই এপ্রিল জানায় যে তারা ২০ শে এপ্রিল থেকে মোবাইল ফোনের ডেলিভারি শুরু করবে।
কিন্তু কেন্দ্র সরকার গতকাল অর্থাৎ ১৯ শে এপ্রিল সরকার ই-কমার্স কম্পানিগুলিকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিল যে জরুরী জিনিস গুলো যেমন স্যানিটাইজার, মাস্ক, গ্লাভস প্রভৃতি ছাড়া অন্য কোন জিনিস সরবরাহ করা যাবে না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে এর আগে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয় যে ই-কমার্স কোম্পানিগুলি সকল প্রকার দ্রব্য সরবরাহ করতে পারবে ২০ এপ্রিলের পরে । কিন্তু কাল সরকারের তরফ থেকে বলা হয় যে আগে যে বিবৃতিটি দেওয়া হয়েছিল তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো।
এছাড়াও ওই বিবৃতিতে বলা হয় যে ডেলিভারি বয়ের অবশ্যই সোশ্যাল distancing মেনে চলা এবং আরোগ্যসেতু অ্যাপটি ডাউনলোড করা বাধ্যতামূলক।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়, “এই এসওপি(SOP)টির উদ্দেশ্য হ’ল প্রথম শ্রেণীর বিক্রেতারা সহ সরবরাহের চেইন জুড়ে কোভিড-19 মহামারীজনিত পরিস্থিতি চলাকালীন কর্মস্থলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্য রক্ষণাবেক্ষণ এবং সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার দিকনির্দেশনা প্রদান করা।”
আরও জানুন : ভারতের বাজারে মি নিয়ে এলো অভিনব এক রোবট ! এর কাজ বিস্ময়কর !
এসওপির খসড়াটিতে কোভিড -১৯ টি লক্ষণ (কাশি, হাঁচি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট) ইত্যাদির জন্য বিক্রয়কারী, গুদামজাতকরণ এবং বিক্রয় ক্রিয়াকলাপগুলিতে কর্মীদের স্ক্রিনিং এবং কোনও লক্ষণ দেখা দিলে আশেপাশের হাসপাতালে তাৎক্ষণিক ভর্তি করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কোন কর্মী কোভিড -১৯ পজিটিভ প্রমাণিত হওয়ার ক্ষেত্রে, পুরো ফ্যাক্টরীটি তাৎক্ষণিকভাবে খালি করা হবে এবং সমস্ত মাল আচ্ছাদিত এবং বিচ্ছিন্ন করা হবে।
“শিপমেন্ট বহনের জন্য ডেলিভারি ব্যক্তি দ্বারা ব্যবহৃত ব্যাগগুলি ডেলিভারির জন্য রওয়ানা হওয়ার আগে পরিষ্কার করা হবে,” এসওপির খসড়াটিতে আরও বলা হয়েছে, সমস্ত ডেলিভারি কর্মীরা ডেলিভারির সময় সর্বদা মাস্ক পরবে এবং গ্রাহকদের সাথে সর্বনিম্ন 3-ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
আরো বলা হয় যে, “সকল মূল্যের জিনিসের জন্যই ক্যাশ অন ডেলিভারি(COD) অপশনটি যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।”