স্মার্টফোনে পছন্দের মুভি বা ইউটিউবে ভিডিও দেখতে দেখতে দিন কেটে যায় অনেকেরই। আর এই মোবাইল ঘেঁটে ঘেঁটে মোবাইল ডেটা শেষ করে ফেলা এখন আর নতুন কিছু নয়। কিন্তু ব্যাপারটা অন্যরকম উত্তরপ্রদেশের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রের ক্ষেত্রে। নাম অস্তিত্ব আগারওয়াল। তার বাড়ি আলীগড় জেলার জাটটারি গ্রামে।
উত্তরপ্রদেশের অস্তিত্ব আগারওয়াল কে নিয়ে চিন্তিত সকলেই
তার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ঘটছে একটু অন্যরকমের। হাতে স্মার্টফোন দেওয়া মাত্রই গায়েব হয়ে যাচ্ছে মোবাইল ডেটা। প্রথম প্রথম ব্যাপারটিকে অতটা গুরুত্ব সহকারে না বিবেচনা করলেও, পরবর্তীকালে দেখা যায় নির্দিষ্ট একটা মোবাইল ফোনে নয়। যেকোনো মোবাইল ফোনই তার হাতেই দেওয়া হোক না কেন এবং সেই ফোনে যতই ডেটা থাকুক না কেন, সমস্ত ডেটা ফুরিয়ে যাচ্ছে নিমেষের মধ্যে।
এমনকি তাকে ফোন ঘাঁটতেও হচ্ছে না। কিছু করছে না সে সেই স্মার্টফোনে। এমনটাই তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। আর এতেই রাত্রের ঘুম ছুটেছে গোটা পরিবারের। আর এই ঘটনায় হতবাক করে দিয়েছে সকলকে। ইতিমধ্যেই এই সমস্যার সমাধানে হন্যে হয়ে একের পর এক ডাক্তারের কাছে ছুটছেন তার বাবা। ছুটছেন নিউরোসার্জেনের কাছেও। কিন্তু ছেলে শরীরে অন্য কোন রকম সমস্যা বা অসুবিধা না অনুভব করলেও এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় বাতলে দিতে পারেননি কেউই।
শুধুমাত্র গোটা বাড়ির নয় আশেপাশের এলাকা থেকে যেকোনো স্মার্টফোন তার হাতে এনে দেওয়া হোক না কেন। সঙ্গে সঙ্গেই জানা যাচ্ছে সে স্মার্টফোনের ডেটা শেষ। আর এখানেই তাঁর বাবা মনে করছেন ছেলের শরীরের সাথে কোন ভাবে সংযোগ তৈরি করেই নিমেষের মধ্যে শেষ হয়ে যাচ্ছে মোবাইল ইন্টারনেট।
ইন্টারনেট আমাদের অনেক উপকার করে। তবে এর সাথে সাথে তার মধ্য দিয়ে অনেক গুজব ছড়িয়ে পড়তেও আমরা দেখি। কোভিড টিকা শুরু হওয়ার প্রাক্কালে আমরা দেখেছিলাম টিকা নিয়ে শরীরে ম্যাগনেটিক ক্ষমতা চলে আসছে এমন গুজব রটেছিল। আর এটাও কোনরকম গুজব, নাকি সত্যিই ঘটছে এমন ব্যাপার? সময়ই দেবে তার উত্তর। এই বিষয়ে আপনার কি মতামত? অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না।
অপদেবতা বা জ্বিন কারো শরীরে ভর করলে এমন হয়