ক*ভি*ড 19 আমাদের শিক্ষা দিয়েছে অনেক। আর এমনই কোনো পরিস্থিতিতে ইলেকশনে যাতে সমস্যা না সৃষ্টি হয় সেই জন্য ইতিমধ্যেই বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোনের উপর নির্ভরশীল ভোটিং এর ট্রায়াল হয়ে গেল। তেলেঙ্গানা গভর্মেন্টের পক্ষ থেকে সফলভাবে ডামি ভোটিং অরগানাইজ করা হয়েছিল এই পদ্ধতি অবলম্বন করে। আর জানা যাচ্ছে সেই ভোটিং সম্পূর্ণভাবেই সফল হয়েছে।
Android Application-এর সাহায্যে ঘরে বসেই দেওয়া যাবে ভোট
ক*ভি*ড 19 এর মত পরিস্থিতিতে সব সময়ই ভিড় এড়িয়ে চলা উচিত। আর ইলেকশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সেই ভিড় এড়িয়ে চলাটাই সবসময় সম্ভব হয় না। যতটাই সাবধানতা নেওয়া হোক না কেন, সংক্রমণের প্রবণতা থেকেই যায়। এই সমস্যা থেকে উপায় এর পথ হিসেবেই তেলেঙ্গানা স্টেট ইলেকশন কমিশন তাদের ইমার্জিং টেকনোলজি ইউইং অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি আর তার সাথে ইলেকট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ডিপার্টমেন্ট ও গর্মেন্ট অফ তেলেঙ্গানার সাহায্যে তৈরি করে ফেলেছে এক নতুন পদ্ধতির।
এই পদ্ধতির সাহায্যে স্মার্টফোন থেকেই Android Application ব্যবহার করে খুব সহজেই ভোট প্রদান করা যাবে। শুধুমাত্র ভোট প্রদান করাই নয় ভোট দিতে গেলে যে সমস্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়, ভোটারের সিকিউরিটি সম্পর্ক যে সমস্ত সচেতনতা অবলম্বন করতে সমস্ত কিছুই খুব সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে মেনে চলা হয়েছে এই ভোটিং পদ্ধতিতে।
আর ইতিমধ্যেই একটা ডামি ইলেকশন স্থির করা হয়েছে সে রাজ্যের খাম্মান জেলাতে। 8 থেকে 18 তারিখ পর্যন্ত এই অ্যাপ্লিকেশনে রেজিস্ট্রেশন করতে পারছেন সেই জেলার অধিবাসীরা। ভোট নেওয়া হবে অক্টোবরের 20 তারিখে।
কিভাবে ভোটিং সম্পন্ন হবে এই পদ্ধতিতে?
এই পদ্ধতিতে ভোটিংয়ের জন্য তৈরি করা হয়েছে এক Android Application। যার নাম TSEC eVote। অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে রাখা হয়েছে থ্রি-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন এর ব্যবস্থাও। অর্থাৎ একই ব্যক্তি যাতে বারবার ভোট দিতে না পারেন বা সঠিক ভোটার যাতে ভোট দিতে পারেন তার জন্য রাখা হয়েছে এই অথেন্টিকেশনের ব্যবস্থা। যেখানে ভ্যালিড ভোটার নাম ম্যাচিং করা হচ্ছে আধারের সাথে। তারই সাথে সেই ব্যক্তি জীবিত কিনা। অর্থাৎ তার লাইভনেস ডিটেকশন করা হচ্ছে। তার সাথে EPIC ডেটাবেসের সাথে তার ছবি ম্যাচ করে দেখা হচ্ছে।
এমনকি পরবর্তী ক্ষেত্রে ব্লকচেইন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা হয়েছে। যাতে করে এই ভোট সম্পূর্ন ভাবেই এনক্রিপটেড থাকে। অর্থাৎ ভোটার কাকে ভোট দিচ্ছেন তা যাতে প্রকাশ না পেয়ে যায়, সেই ব্যবস্থাও করা হয়েছে গুরুত্বের সাথেই। রাখা হয়েছে এর টিউটোরিয়াল ভিডিও এবং ভালো রকম গাইডেন্স রাখা হয়েছে তেলেগু এবং ইংরেজিতে।
সমস্ত কিছু মিলিয়ে সারাদেশকে পথ দেখাচ্ছে তেলেঙ্গানা। শুধুমাত্র বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই নয়, যে সমস্ত বিশেষভাবে সক্ষম ভোটার রয়েছেন বা বয়স জনিত কারণে যাদের ভোট দিতে সমস্যা সৃষ্টি হয়, ঘরে বসেই তারা ভোট দান করতে পারবেন। এই প্রযুক্তি সামনে এনে নিশ্চিতভাবেই সারা দেশের মধ্যে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করল তেলেঙ্গানা। তবে সারা দেশে এই প্রযুক্তি অবলম্বন করে ভোট নেওয়া সম্ভব কিনা সময়ই দেবে তার উত্তর।
এই বিষয়ে আপনার কি মতামত? অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না।