সুদূর আমেরিকা থেকে ফেসবুকে তৎপরতায় বাঁচানো গেল পশ্চিম দিল্লির এক বাসিন্দাকে। ঘটনাটি ঘটে যখন পশ্চিম দিল্লির এক বাসিন্দা ফেসবুক লাইভে এসে নিজের হাত কেটে সুইসাইড করার চেষ্টা করছিলেন। সেই ব্যক্তির বয়স 39 বছর। 2016 সালে তিনি তার স্ত্রীকে হারিয়েছেন। এবং এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ করেই প্রতিবেশীর সাথে তার বাদানুবাদ বাঁধে কোনো একটি বিষয় নিয়ে।
সমস্ত কিছু নিয়েই মানসিকভাবে তিনি বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিলেন। তাই এরকম চূড়ান্ত দুঃখজনক পদক্ষেপ নিতে তিনি বাধ্য হন বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি ফেসবুক লাইভে যান এবং তার হাতে বেশ কয়েকটা গভীর ভাবে ক্ষত করে ফেলেন। সমস্ত কিছুই লাইভ স্ট্রিম তিনি করছিলেন ফেসবুকে। ফেসবুকে তার এই সেল্ফ হার্ম (Self Harm) ভিডিও দেখে তৎক্ষণাৎ নড়েচড়ে বসে ইউনাইটেড স্টেটস এ থাকা ফেসবুকের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সঙ্গে সঙ্গে তার অবস্থান দেখে দিল্লির সাইবার প্রিভেনশন অ্যান্ড ডিটেকশন ডিপার্টমেন্ট (Cyber Prevention and Detection Department) কে খবর দেওয়া হয়। দিল্লি পুলিশের তরফ থেকে তখন তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেস করে সমস্ত কিছু জানার চেষ্টা চলে। একাউন্টের সাথে যে ফোন নাম্বারটা দেওয়া ছিল সেটাও তখন সুইচড অফ।
এই রকম পরিস্থিতিতে তখন সেই মোবাইল নাম্বারের সাথে যুক্ত এড্রেসটা খুঁজে বার করতে চেষ্টা করে দিল্লি পুলিশ। এবং সেটা পাওয়া যায় দিল্লির দ্বারকার। দিল্লি পুলিশ তার লোকেশন পাওয়ার পরই আর দেরি করেননি। সঙ্গে সঙ্গে এমার্জেন্সি রেসপন্স ভেহিকেল কে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সেই ঠিকানায়। এবং তারা গিয়ে খুবই খারাপ অবস্থায় উদ্ধার করেন সেই ব্যক্তি কে।
ততক্ষণে তার অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে। দিল্লি পুলিশের তৎপরতায় তখন তাকে নিয়ে যায় নিকটবতী হসপিটালে। পরবর্তীকালে জানা যায় তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল। লাইভ স্ট্রিমিংয়ে আত্মহত্যা করার পরিমাণ বর্তমান সময়ে প্রচন্ড রকম ভাবে বেড়ে গেছে। যেটা রীতিমতো ভাবাচ্ছে সকলকে। আর এই পরিস্থিতিতে ফেসবুকের তৎপরতা রীতিমতো প্রশংসাযোগ্য।