আমরা প্রত্যেকেই চাই নতুন নতুন গ্যাজেট ব্যবহার করতে। চাই লেটেস্ট ভার্সনের আইপ্যাড বা ম্যাকবুক কিনে সেগুলিকে ব্যবহার করতে। এই স্বপ্ন অনেকের কাছে স্বপ্নই থেকে যায়। কিন্তু আপনি কি জানেন আমাজন লক্ষ লক্ষ এইরকমই দামি এবং অবিক্রিত পণ্য নষ্ট করে দেয়। অতি সম্প্রতি এমনই খবর বেরিয়ে এসেছে ব্রিটেনের ITV News থেকে পাওয়া এক তথ্য থেকে।
তাদের শেয়ার কর তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে প্রত্যেক বছর লক্ষ লক্ষ এইরকমই প্রিমিয়াম,দামি অথচ বিক্রি না হওয়া গ্যাজেট নষ্ট করে দিতে বাধ্য হয়। ব্রিটেনে অ্যামাজনের চব্বিশটা ফুলফিলমেন্ট সেন্টার রয়েছে। তার মধ্যে থেকে শুধুমাত্র একটা ফুলফিলমেন্ট সেন্টারেরই এমন অবস্থা।
আর এইখানে বিতর্ক, সারা পৃথিবী জুড়ে চ্যারিটির অভাব নেই। যে প্রোডাক্ট এর কোনো প্রয়োজন নেই, যে প্রোডাক্ট এইভাবে নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। সেই প্রোডাক্ট কেন চ্যারিটিতে দান করে দেওয়া হচ্ছে না এমন প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে! যাদের প্রয়োজন তাদের দিয়ে দিলেও তো মিটে যায়!
ITV News এর সমীক্ষায় অ্যামাজনের একজন প্রাক্তন এমপ্লয়ী জানিয়েছেন এক লাখ ত্রিশ হাজারের মতো এমনই দামি প্রোডাক্ট তারা নষ্ট করে দেন।সেই কর্মচারী তার অভিজ্ঞতাও জানাতে ভোলেননি। এই বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন কিছু কিছু প্রোডাক্টের ডোনেট (Donate) লেখা থাকতো। সেগুলো ডোনেট করার জন্য। সেই গুলোকে তারা নষ্ট করতেন না।
আর যে সমস্ত প্রোডাক্টসে Destroy মার্ক করা থাকত সেই গুলোকে তারা নষ্ট করে দিতেন। তিনি যেমন ম্যাকবুক, আইপ্যাড নষ্ট করেছেন। তেমনই অতি সম্প্রতি তিনি কুড়ি হাজার COVID মাস্কও করে দিয়েছেন। যেগুলি তখনও অব্যবহৃত অবস্থায় ছিল! তার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, এক সপ্তাহে প্রায় 1,30,000 প্রোডাক্ট তিনি নষ্ট করেছেন। সেখানে ডোনেট মার্ক করা ছিল মাত্র 28,000 মত প্রোডাক্টে!
সব বাদ দিয়েও যদি এর কারণ খুঁজতে যান তাহলে আপনাকে অবাক হতেই হবে। এটাই আমাজনের বিজনেস মডেল। এর কারণ একটাই। যে সমস্ত প্রোডাক্ট আমাজনের ওয়ারহাউজে বেশ কিছুদিন ধরে অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে থাকে। সেই প্রোডাক্ট নষ্ট করে দিলে যা খরচ হয় তার তুলনায় সেখানে রাখা থাকলে খরচ আরো বেশি হয়ে যায়। কারণ তাদের জন্য ভাড়া গুনতে হয় অনেক বেশি।