বিশ্বব্যাপী কোভিড-19 অতিমারির প্রকোপের কারণে মানুষ বাড়ি থেকেই অধিকাংশ অফিসের কাজ, শিক্ষাদানের কাজ চালাচ্ছেন।
এই কারণে ভিডিও কনফারেন্সের চাহিদা 2 মাসে বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। জুম সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড করেছেন মানুষ।
এছাড়া, জুমের মতো জনপ্রিয় অ্যাপের তথ্য হ্যাকারদের কাছে বিক্রি হওয়ায় প্রাইভেসি নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছে।
তাই,অন্যান্য জনপ্রিয় ভিডিও কলিং প্ল্যাটফর্মগুলির(যেমন জুম, গুগল হ্যাঙ্গআউট, স্কাইপ)সঙ্গে টেক্কা দিতে ফেসবুক আগেই এনেছে ম্যাসেঞ্জার রুম।
এছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ কল লিমিট বাড়িয়েছে ফেসবুক।
এবার, WABetaInfo এর এক রিপোর্টে প্রকাশ পেলো যে হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েব ম্যাসেঞ্জার রুমের সাপোর্ট পেয়ে যাবে খুব শীঘ্রই।
জুকেরবার্গ আগেই বলেছেন ইনস্টাগ্রাম,ফেসবুক মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপ এই চারটি অ্যাপ থেকেই ডাইরেক্ট ম্যাসেঞ্জার রুম ইউজ করা যাবে।
অর্থাৎ এটা স্পষ্ট যে এই চারটি অ্যাপকে ইন্টিগ্রেট করার কথা ভাবছেন জুকেরবার্গ।
ফেসবুক তার মালিকানাধীন এই চারটি অ্যাপকে ইন্টিগ্রেট করে ইউজারদের স্মুথ পরিষেবা দিতে সচেষ্ট।
কি কি সুবিধা পাবেন ম্যাসেঞ্জার রুমে ?
ম্যাসেঞ্জার রুমে ভিডিও কনফারেন্সিং চলাকালীন এই চারটি প্ল্যাটফর্মের যেকোনো একটি ইউজ করেন এমন ইউজার ওই কনফারেন্সে অংশ নিতে পারবেন।
হোয়াটস্যাপ ডেস্কটপ ভার্সনে ম্যাসেঞ্জার রুম সাপোর্টের কাজ প্রায় শেষের দিকে।
হোয়াটস্যাপ ওয়েব ভার্সন 2.2019.6 তে দেখা গেল ম্যাসেঞ্জার রুম সাপোর্ট। কিন্তু কমার্শিয়াল রোল আউট হয়নি এখনো।
আরও জানুন : পাসওয়ার্ড রাখুন ইলন মাস্কের ছেলের নামের মতো, মশকরা করে সতর্কতা মূলক টুইট স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার !
অন্যান্য সমস্ত ভিডিও কনফারেন্স প্ল্যাটফর্মের অনুরূপ কলটির হোস্টটি হ’ল একমাত্র ব্যক্তি যিনি কলটিতে লোক যুক্ত করতে পারেন এবং কলটি শুরু করতে অবশ্যই তাকে উপস্থিত থাকতে হবে।
হোস্ট যদি লেফট হন তাহলে ভিডিও কল শেষ হবে।
হোস্টের আরও ক্ষমতা রয়েছে – তিনি অংশগ্রহণকারীকে সরাতে বা অ্যাড করতে পারেন।
যদি কোনও অংশগ্রহণকারী কল ছেড়ে দেয় তবে রুমটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই ব্যক্তির জন্য লক হয়ে যায়।