ঘুটঘুটে অন্ধকার সুইমিংপুলে চাঁদে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন NASA-র মহাকাশচারীরা, এই ছবি হতবাক করে দেবে আপনাকেও

মহাকাশে একের পর এক অসাধ্যসাধন করে আমাদের সকলের মন জয় করেই চলেছেন NASA। অতি সম্প্রতি লঞ্চ করা হয়েছে James Webb Space Telescope কে। যা স্বাভাবিক ভাবেই এগিয়ে চলেছে তার নির্দিষ্ট পথ ধরে। এবার NASA তাদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে একটা ছবি শেয়ার করেছে। যা দেখে আপনি হতবাক না হয়ে পারবেন না। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে ঘুটঘুটে অন্ধকারাচ্ছন্ন এক সুইমিং পুলের একদম নিচে চাঁদে নামার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন নাসার মহাকাশচারীরা। আরো কিছু বিশেষত্ব রয়েছে এই ছবির মধ্যে। সমস্ত কিছু জানলে আপনিও হতবাক হয়ে যাবেন।  

ঘুটঘুটে অন্ধকার সুইমিং পুলের নিচে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন NASA-র মহাকাশচারীরা 

মহাকাশ সম্পর্কে আমাদের মধ্যে বিস্ময়ের শেষ নেই। আর সেই মহাকাশে মহাকাশচারী পাঠাতে একের পর এক পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং অসাধ্য সব ট্রেনিং সম্পন্ন করতে হয় পৃথিবী থেকেই। NASA-র আপকামিং আর্টেমিস মুন প্রোগ্রামের (Artemis Moon Programme) জন্য এবার ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে নাসার মহাকাশচারীরা। তাদের এই প্রস্তুতিরই একঝলক আমরা দেখতে পেলাম NASA-র শেয়ার করা এক ছবির মধ্যে। যেখানে দেখা যাচ্ছে এক অত্যন্ত গভীর সুইমিংপুলের একদম নিচে চাঁদের মতো পরিবেশ তৈরি করেছে নাসা। আর সেখানে যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন আসার মহাকাশচারীরা।  

এই বিখ্যাত সুইমিং পুলটি রয়েছে Neutral Buoyancy Laboratory তে। যেখানে এই ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর জন্য আদর্শ পরিবেশ রয়েছে বলেই জানানো হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চাঁদের গ্রাভিটি পৃথিবীর ছয় ভাগ এর এক ভাগ্। সেই জন্য সেই গ্রাভিটিতে হাঁটাচলা, এমনকি সুট মোবিলিটির এবং চাঁদের ভূমি ভাগের সাথে নিজেদেরকে পরিচয় করানোর জন্যই এই ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন মহাকাশচারীরা। 

জেনেনিন : চীন তৈরি করে ফেলেছে কৃত্রিম চাঁদ, মেটানো হবে অনেক জটিল এক সমস্যাকে

নাসা জানাচ্ছে নাসার আর্টেমিস প্রোগ্রামের মধ্যে মহাকাশচারীরা ল্যান্ড করবেন চাঁদের সাউথ পোলে। সেই সময়ে সূর্য দিগন্ত রেখার মাত্র কয়েক ডিগ্রী উপরে থাকবে। যার ফলে লম্বা এবং দীর্ঘ ছায়া তৈরি হবে সেখানে। আর এই পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতেই নাসার বিজ্ঞানীরা বেছে নিয়েছেন এই সুইমিং পুলের একদম তলদেশেকে। 

তারা Neutral Buoyancy Laboratory-র সমস্ত লাইট বন্ধ করে দিয়েছেন। আর তার সাথে সমস্ত পর্দা নামিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই ল্যাবরেটরির মধ্যে। যার ফলে এমন ঘুটঘুটে অন্ধকারছন্ন পরিবেশ তৈরি হয়েছে সেই সুইমিং পুলের নিচে। ঠিক এই ধরণের পরিবেশেরই সম্মুখীন হবেন মহাকাশচারীরা চাঁদের সাউথ পোলে পদার্পণ করার পর। যেখানে অত্যন্ত পাওয়ারফুল ল্যাম্প ব্যবহার করে তাদের কাজকর্ম করতে হবে। তেমন ল্যাম্প তারা ব্যবহার করছেন এই সুইমিং পুলের তলদেশেও। এমনকি সুইমিংপুলে তলদেশে ব্যবহার করা হয়েছে বালি। তাদের শেয়ার করা ছবি দেখেনিন এখানে-

তবে নাশা সব শেষে এটাও জানাতে ভোলেনি এই যে পরীক্ষাটা করা হয়েছে সেটা সাধারণ স্কুবা ডাইভিং-এর গিয়ার ব্যবহার করেই। এটা করার উদ্দেশ্য ছিল একটাই, চাঁদের সেই সময়ের লাইটিং কন্ডিশন এর সাথে মহাকাশচারীদের পরিচয় ঘটানো। তবে খুব শীঘ্রই এমন পরিস্থিতিতেই নাশা সম্পূর্ণ স্পেস স্যুট পরিয়ে মহাকাশচারীদের নিয়ে যাবে এই গভীর সুইমিংপুলে। তার সাথে সম্পূর্ণ রকম ভাবে তৈরি করে ফেলা হবে তাদের চাঁদের সেই পরিস্থিতির। 

পৃথিবীর এই সমস্ত ট্রেনিংয়ে মহাকাশচারীদের চাঁদে গিয়ে নানান অসাধ্য সাধন করতে সাহায্য করবে তা আর বলে দিতে হয় না। অনেক অনেক শুভেচ্ছা নাসাকে তাদের আগামী মিশনের জন্য। এই রকমই গুরুত্বপূর্ণ টেক আপডেট মিস না করতে চাইলে আমাদের সঙ্গে থাকুন, শ্রেষ্ঠ থাকুন। প্রতিদিনের বাছাই করা গুরুত্বপূর্ণ টেক আপডেট WhatsApp-এ পেতে এখানে ক্লিক করুন!