37 লাখ টাকার এই হেলমেট পড়ে দেবে আপনার মন, শুরু হয়ে গেল এর বিক্রি

kernel company starts shipping of their mind reading helmet

নিজেকে জানার চেষ্টায় অনেকে জীবন অতিবাহিত করে দেন। তবুও পাওয়া যায় না সে প্রশ্নের উত্তর। কার মনে কি চলছে, সেটা জানার চেষ্টাও আমাদের কাছে বৃথা হয়ে যায় অনেক সময়। অনেক চেষ্টা করেও পাওয়া যায়না সফলতা। 

কিন্তু এই সমস্যার সমাধান এবার নিয়ে এসেছে কার্নেল (Kernel) নামে এক কোম্পানি। তারা তৈরি করেছে এমন একটি হেলমেট সাহায্যে মানুষের মনে কি চলছে সেটা খুব সহজেই জানতে পেরে যাওয়া যাবে। অর্থাৎ এটি হিউম্যান মাইন্ড রিড করতে সক্ষম। মাইন্ড রিডিং হেলমেট (Human Mind Reading Helmet) বলা যায় এটাকে। শুরু হয়ে গেল এর শিপিং। 

37 লাখ টাকার এই হেলমেট পড়ে দিতে পারবে আপনার মন 

আপাতদৃষ্টিতে যদি এই হেলমেট দেখেন তাহলে আপনার সায়েন্স ফিকশন থেকে বেরিয়ে আসা কোন হেলমেট বলেই মনে হবে। প্রথমেই মনে পড়তে পারে আয়রনম্যানের হেলমেটের কথা। 

হেলমেট এর মধ্যে সেনসরে ভর্তি। রয়েছে ইলেকট্রিক মেশিনারিজ যেগুলো ব্রেনের ইলেকট্রিক্যাল ইমপালস গুলোকে খুব সহজেই অ্যানালিসিস করতে পারবে। তার সাহায্যে ব্লাড ফ্লো কেও করতে পারবে অ্যানালিসিস। এবং সমস্ত কিছু মিলিয়ে বলে দিতে পারবে আপনার মনে এখন কি চলছে। 

এই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছে Kernel নামে কোম্পানি। জানা যাচ্ছে এই প্রযুক্তি অনেকদিন ধরেই ছিল কিন্তু। কিন্তু তার জন্য খরচ করতে হতো কোটি কোটি টাকা। যে মেশিন তৈরি সম্ভব হয়েছিল সেটাও আকৃতিতে একটা ঘরের সমান। তাই সেখান থেকে ছোট ভার্সন তৈরি করেছে এই কার্নেল কোম্পানি। যেটা যেকোনো কেউ পরিধান করতে পারবে। হাঁটাচলা করতে পারবে। এটি নিঃসন্দেহে এক হতবাক করার মতই ব্যাপার। 

বহু বছর ধরে অনেক উত্থান পতনের পর অবশেষে এসে গেছে এই হেলমেট বাজারে। এমনকি বিশ্বজুড়ে কয়েকজন ক্রেতার মধ্যে ইতিমধ্যে হেলমেটের শিপিংও শুরু করে দেওয়া হয়েছে।

জেনেনিন : Father’s Day উপলক্ষে নতুন Doodle-এর মাধ্যমে Google এর শ্রদ্ধার্ঘ

রিসার্চাররা এই হেলমেট এর সাহায্যে নানান ধরনের মেন্টাল ডিসঅর্ডার, স্ট্রোক এর মতো সমস্যা, এমনকি ব্রেইনের বয়স হয়ে যাওয়ার উপরও গবেষণা চালাবেন। করা হবে ব্রেনের এখন সমাধান না হওয়া ব্রেনের অনেক রহস্য সন্ধানও। কর্নেল কোম্পানির সিইও অ্যান্ড জনসন স্বপ্ন একটাই 2030 সালের মধ্যে এই হেলমেটের দাম কে স্মার্টফোনের দামের মতোই কমিয়ে নিয়ে চলে আসা। তিনি চান আমেরিকার সমস্ত ঘরে ঘরেই এই মাইন্ড রিডিং হেলমেট ছড়িয়ে পড়ুক। 

নিঃস্বন্দেহে, প্রযুক্তি এমন জায়গায় পৌঁছাচ্ছে যেটা কয়েক বছর আগে আমরা কল্পনাও করতে পারতাম না। এই হেলমেটে অনেকে বিশ্বাস করলেও অনেকে হেসেই উড়িয়ে দিচ্ছেন। সময়ই দেবে হেলমেট কতটা সফল হয় তার উত্তর। কিনবেন নাকি আপনি এই হেলমেট?