এইভাবে আপনার Android Smartphone কেও সিকিউর করে তুলুন, বিপদ থেকে বাঁচুন

আমরা প্রত্যেকেই প্রায় অ্যান্ড্রয়েড (Android) স্মার্টফোন ব্যবহার করি। সিকিউরিটির দিক থেকে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে অনেক সময়ই সমস্যা দেখতে পাই আমরা। তবে তা হলেও বেশ কিছু সিকিউরিটি ফিচারস ইনবিল্ট থাকে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের মধ্যে। 

যেগুলোকে আমাদের প্রত্যেকেরই ব্যবহার করা উচিত। এর ফলে আপনার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন অনেকটাই সিকিওর হয়ে যাবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই সমস্ত সিকিউরিটি ফিচারস গুলো। আর এই ফিচারস গুলো অবশ্যই আপনি ব্যবহার করতে শুরু করুন আজ থেকেই। 

1। প্রথমত স্ক্রিন লক (Screen Lock) রয়েছে আমাদের স্মার্টফোনে। এটি একটা বেসিক সিকিউরিটি প্রোভাইড করে আমাদের স্মার্টফোন একসেস করার জন্য। এটা হতে পারে পিন এর মাধ্যমে লক অথবা প্যাটার্ন অথবা পাসওয়ার্ড। তার সাথে ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক তো এখন রয়েছে। আর কোন কোন ক্ষেত্রে ফেইস আইডি লক কাজ করে। নিঃসন্দেহে আমাদের অজান্তেই যখন কেউ আমাদের স্মার্টফোন আনলক করতে চাই, এই স্ক্রীন লক করা থাকলে তাকে বেকায়দায় পড়তে হবে। 

2। স্মার্টফোনে গুগল প্লে প্রটেক্ট (Google Play Protect) কে অন করে রাখুন। আমরা আমাদের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে গুগল প্লে স্টোর (Google Play Store) থেকে অনেক অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করি। তার মধ্যে কোনো অ্যাপ্লিকেশনে যদি সমস্যা থাকে বা ক্ষতিকারক হয়ে দাঁড়ায় তাহলে গুগল প্লে প্রটেক্ট থেকে তৎক্ষণাৎ নোটিফিকেশন দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়। এই ফিচারটিকে অন করার জন্য সেটিংস (Settings)-এ যান। সেখান থেকে সিকিউরিটি (Security)-তে চলে যান। গুগল প্লে প্রটেক্ট এর মধ্যে যান। সেখানে গিয়ে এটিকে অন করে দিন। তাহলেই হবে।

জেনেনিন : Amazon শুরু হচ্ছে Great Freedom Festival, বিভিন্ন প্রোডাক্ট কিনে নিতে পারবেন হিউজ ডিসকাউন্টে, এখুনি দেখেনিন কোন বিশেষ বিশেষ প্রোডাক্টে রয়েছে ডিসকাউন্ট

3। কোন এপ্লিকেশন কি ধরনের পার্মিশন (App Permission) চাইছে সেটা অবশ্যই খেয়াল রাখুন। আমরা অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোডের সময় এই বিষয়টা ইগনোর করে যায়। যে এপ্লিকেশনের ফটো এডিটিং কাজ কিন্তু সেটা যদি কল লিস্ট এবং এসএমএস একসেসের পারমিশন চেয়ে নেয়, তাহলে দয়া করে সচেতন হয়ে যান। এই ধরনের অ্যাপ্লিকেশন থেকে বিপদ আসতে পারে। 

4। এই সমস্ত সিকিউরিটির গুলোকে আপনাকে অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত আপনার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে। তারই সাথে সন্দেহজনক কোনো লিংকে ক্লিক করবেন না। পুরস্কার দেওয়ার লোভ দেখিয়ে কোন লিংক যদি আপনার স্মার্টফোনে এসে থাকে, দয়া করে সেগুলো এড়িয়ে চলুন। 

5। এপ্লিকেশন গুলোকে সিকিওরলি ব্যবহার করতে চেষ্টা করুন। WhatsApp যদি ব্যবহার করেন তার জন্যও বেশকিছু সিকিউরিটি ফিচার্স রয়েছে। সেগুলো ব্যবহার করতে শুরু করুন। 

নিঃসন্দেহে এই সমস্ত ফিচার গুলো ব্যবহার করলে আপনার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে ভালো রকমের সিকিওর হয়ে উঠবে। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি অবশ্যই শেয়ার করুন আপনার প্রিয়জনের সাথে। তাদেরও এই বিষয়ে সচেতন করে দিন। সমস্ত লেটেস্ট টেক আপডেট সবার আগে পেতে আমাদের সঙ্গে থাকুন, শ্রেষ্ঠ থাকুন।